নবাবগঞ্জ পোষ্ট অফিসের বেহাল দশা

বিপ্লব ঘোষ, দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি.

বাংলাদেশ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের অধীনস্ত ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা পোষ্ট অফিসের বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এ পোষ্ট অফিসে সেবার পরিসর বাড়লেও বাড়েনি আধুনিক সুবিধা। সীমানা প্রাচীর না থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় কার্যক্রম চালাচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। জানা যায়, ১৯৭৫ সালে নবাবগঞ্জ পোষ্ট অফিস স্থাপতি হয়। যার ডাক বিভাগের পোষ্ট কোড ১৩২০। প্রতিষ্ঠার সময় টিনকাঠের ঘর ছিল। ৮০’র দশকের প্রথম দিকে পাকাভবন নির্মান করা হয়। এরপর কয়েক দফা মেরামত ও চুনকাম করা হয়েছে। এরই মধ্যে জীর্ণ ভবনের কলামে ফাটল ধরেছে। দেয়ালের অনেক স্থানে পলেস্তারা ফুলে আছে। আবাসিকের অবস্থাও যাচ্ছেতা। দরজা, জানাল গুলোও পুরনো। ভিতরে সেকেলে কাঠের পুরনো ভাঙা আসবাবপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। অফিস ভবন প্রধান সড়কের পাশে হলেও সীমানা প্রচীর নেই। এতে যে কেউ সীমানায় প্রবেশ করে ব্যবসার মালামাল রাখছে। কেউ বা গাড়ি পার্কিং করছে।

এখানে রাত নামলেই মাদক সেবীদের আড্ডাখানায় পরিণত হচ্ছে। এর মধ্যে ঝুঁিক নিয়ে অফিস করতে বাধ্য হচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এদিকে, সড়ক উঁচু করায় অফিস ভবনসহ উঠান নিচুঁ হয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই উঠানে হাট পানি জমে যাচ্ছে। বেশি বৃষ্টি হলে অফিস কক্ষে পানি ঢুকে কাগজপত্র ভিজে যাচ্ছে। পোষ্ট অফিস সূত্র জানায়, বিদেশ প্রধান এ অঞ্চলের নগদ টাকার ছড়াছড়ি। লভাংশ বেশি ও ঝুঁকি কম থাকায় পোষ্ট অফিসে টাকা রাখার প্রবণতা বাড়ছে।

প্রতিদিনই বাড়ছে নতুন গ্রাহক সংখ্যা। বর্তমানে যে সব সেবা চালু আছে তার মধ্যে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহক ৭ থেকে ৮ হাজার, এফডিআর ২ থেকে ৩ হাজার, সেভিংস গ্রাহক দেড় হাজারের বেশি বলে জানা যায়। এদিকে, জনবল কম থাকায় প্রতিদিনই গ্রাহকদের ভীড় সামাল দিতে হিমসিম খেতে হয় কর্মকর্তাদের। পোষ্ট মাষ্টার মো. মাসুদ খান জানান, নানা সমস্যায় অফিস করতে হয়। প্রতিদিন দুই শতাধিক গ্রাহক লেনদেন করেন। রাতের পাহাড়াদারও নেই। নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়ে অফিস করতে হয়। পোষ্ট মাষ্টার আরও জানান, বর্তমানে আমিসহ ১১জন কর্মরত আছি। ভীড় সামাল দিতে আরও দুজন পোষ্টাল অপারেটর জরুরী। এছাড়া এ আধুনিক যুগেও পুরনো যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্রে কাজ করতে হয়। নিরাপত্তার জন্য নেই গানম্যান। এবিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি দিয়েছি। বাংলাদেশ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের অধীনস্ত ঢাকা বিভাগের ডেপুটি পোষ্ট মাষ্টার জেনারেল মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, এ সংক্রান্ত একটি আবেদন দফতরে পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদনও পাঠানো হয়েছে। আশাকরি আগামী অর্থবছরের মধ্যে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন